ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভাঙল লাখো মানুষের মিলনমেলা ‘পোড়াদহ মেলা’

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
ভাঙল লাখো মানুষের মিলনমেলা ‘পোড়াদহ মেলা’ ভাঙল লাখো মানুষের মিলনমেলা ‘পোড়াদহ মেলা’ / ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলাকে ঘিরে লাখো মানুষের মিলনমেলা ভাঙল বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে।

প্রায় চারশ’ বছর ধরে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধারণ করে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় চলে আসছে স্থানীয়ভাবে ‘মাছ আর বউমেলা’ নামে পরিচিত এ মেলা।

প্রত্যেক বছরের বাংলা সনের মাঘের শেষ বুধবার দু’দিনের এ মেলা বসে।

মেলার প্রথমদিন থাকে মাছের দখলে। দ্বিতীয়দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একই স্থানে বসে বউমেলা। দিনব্যাপী চলে নারীদের কেনাকাটা গল্প আর আড্ডা।

এবারের মেলা শুরু হয়েছিল বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি)। বৃহস্পতিবার শেষদিন সন্ধ্যায়ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জামাই, স্বজন, দর্শনার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদভারে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গন।

মেলায় আসা শাহাদৎ হোসেন বাবু, বদিউজ্জামান ও  জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, ঈদ-পূজার পরেই এ অঞ্চলের মানুষের অন্যতম বড় উৎসব এ মেলা। মেলা উপলক্ষে পোড়াদহসহ আশেপাশের ১৫-২০ গ্রামের মানুষজন তাদের স্বজনদের নিমন্ত্রণ করেন। নিমন্ত্রণ তালিকার শীর্ষে থাকে নতুন-পুরনো জামাই বাবুদের নাম।

এসব গ্রামের লোকজন জামাই-মেয়ে ও স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে সবাই মিলে-মিশে মেলার আনন্দ উৎসব ভাগাভাগি করে উপভোগ করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া সেলামির সঙ্গে জামাইরা নিজেদের টাকা মিলিয়ে মেলায় ওঠা বড় বড় মাছ ও রকমারি মিষ্টান্ন সামগ্রী কেনেন।

এসব নিয়ে চলে আসেন শ্বশুরবাড়িতে। পরে ধুমধাম করে সেই মাছ রান্না হয়। এরপর চলে আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে খাওয়ার পালা।

মেলার প্রথম দিন সবাই মাছ-মিষ্টি কেনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। দ্বিতীয় দিনের বউমেলায় নারীদের রকমারি খেলনা আর কসমেটিকস সামগ্রী কিনতে দেখা গেছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাকিল, কলেজছাত্রী ফারহানাসহ মেলায় আসা তরুণ-তরুণীরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে ভুলতে বসেছি। অপসংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করছে। গ্রামীণ এসব মেলা আজো বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস-ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এর মধ্যে পোড়াদহ মেলাটি অন্যতম’।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমবিএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।