বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, কেন আসামিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর চৌমাথা বাজারটি ২০১৬ সালের ২২ জুন ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা নেয় নগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। নিয়ম অনুযায়ী ওই বাজারের আশপাশে আর কোন বাজার থাকার কথা না থাকলেও বিসিসি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে বাজার সংলগ্ন আরো দুই স্থানে ছোট ছোট বাজার বসানো হয়। চৌমাথা বাজারে এর প্রভাব পরে। এতে বাজারের ইজারাদার নিরব হোসেন টুটুলের প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে ইজারাদার বিসিসি কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি ক্ষতিপূরণের ৬ লাখ টাকা ফেরৎ চেয়ে বিসিসি কর্তৃপক্ষকে একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু আসামিরা ওই উকিল নোটিশের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই বাজারের জন্য পুনরায় ইজারা দরপত্র আহবান করে বিসিসি কর্তৃপক্ষ।
আগের ইজারাদারের ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে না দিয়ে বেআইনিভাবে পুনরায় ওই বাজার ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএস/আরএ