পরে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মিরপুরের পাইকপাড়ায় ৠাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া প্রতারকচক্রের সদস্যরা বলেছেন, মোবাইল ফোন সিমের ডিস্ট্রিবিউটরা অপারেটরদের কাছ থেকে সিম নিয়ে তাদের নিযুক্ত বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে দেয়।
কিন্তু এতে নাম ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্যাবলী অসম্পূর্ণ থেকেই যায়। পরে খুচরা বিক্রেতারা এসব অসম্পূর্ণ ফরম প্রতিনিধির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে জমা দেন। পরে ডিস্ট্রিবিউটররা পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ ঠিক রেখে ভুয়া নাম-ঠিকানা ও ছবি ব্যবহার করে নিজেরাই জাতীয় পরিচয়পত্র বানান এবং সে অনুযায়ী অসম্পূর্ণ ফরমটি সম্পূর্ণ পূরণ করে অপারেটরের কাছে জমা দেন। এভাবে প্রতারক চক্রটি সিম বিক্রি করে আসছে। আর তার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু মহল।
প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ১৩৬টি ব্যবহৃত মোবাইল, ২৩টি নতুন অব্যবহৃত (প্যাকেটকৃত) মোবাইল, ৬টি ল্যাপটপ, ৩টি সিপিউ, ৫টি মনিটর, ভুয়া তথ্য ও ছবি সম্বলিত ৬৩০টি গ্রাহক নিবন্ধন ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্রের ১৮৬টি ভুয়া প্রিন্ট কপি, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের প্রিন্ট করা অসংখ্য ছবি এবং নগদ ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএটি/আরআর/এমএমকে