শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর রাস্তায় সাইনবোর্ড বসানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ থামাতে ইটপাটকেলের আঘাতে উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নানসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে উভয় পক্ষে অন্তত ৩৫/৪০ জন আহত রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্র।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খোজারখলা ও লাউয়াই গ্রামের সীমান্তবর্তী কাশবন সড়কের নামখচিত সাইনবোর্ড বসাতে গিয়ে জুম্মার নামাজের পর উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। খোজারখলা গ্রামবাসী সাইনবোর্ড বসাতে গেলে বাধা দেন লাউয়াই এলাকার লোকজন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় বরইকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব হোসেন ও সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টুসহ জনপ্রতিনিধিরা সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
বেলা ২টা থেকে থেমে থেমে প্রায় সোয়া ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ইটের আঘাতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় অতিরিক্ত ফোর্স ও রায়টকার তলব করা হয়। পরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রায়টকারসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলি ছুড়ে উভয় গ্রামের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মুরব্বিদের নিয়ে আমি উভয় পক্ষকে নিভৃত করতে চেষ্টা করেছি। বলেছি সালিশের মাধ্যমে এর সমাধান করে দেবো। শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে জানালেন তিনি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষে উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান ও মুন্নাসহ ১০পুলিশ আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে শতাধিক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এনইউ/এসএইচ