শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪ এর জামালপুর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকার দুই যুবককে অপহরণ করে যমুনার চরাঞ্চলে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ জামালপুর কোম্পানির একটি দল সেখানে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা অভিযান চালায়।
অভিযানকালে শুক্রবার ভোরে আন্তঃজেলা অপহরণকারী চক্রের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও বাদল শেখকে আটক করা হয়। তাদের সবার বাড়ি গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার চরাঞ্চলে।
এ সময় অপহৃত রনি মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল ফরহাদকে উদ্ধার করা হয়। দু’জন ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দু’টি ম্যাগজিন, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও মুক্তিপণের সাড়ে ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা ঢাকায় থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) মেরামতের কর্মী এবং ওয়েল্ডিং অপারেটরদের অপহরণ করে জামালপুরে নিয়ে এসে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। তারা এসি মেরামতকারী ও ওয়েল্ডিং অপারেটরদের কাজের কথা বলে ডেকে এনে জিম্মি করতো।
অপহরণকারী চক্রের তিনজন মূলহোতা হলো- ডা. ইউনুস আলী, সুজন ও সাজু। তাদের বিরুদ্ধে জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও ছিনতায়ের একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এতে আরও জানানো হয়, এই অপহণকারী চক্র সম্প্রতি ঢাকার বাড্ডার সাতারকুল এলাকার লক্ষ্মীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মনির হোসেন সাজুকে কাজের কথা বলে একই কায়দায় অপহরণ করে দেওয়ানগঞ্জের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের জিম্মি করে রাখে। পরে মালিক ও পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম ও র্যাব-১৪ এর জামালপুর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এজি/এইচএ/