শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই পূণ্যার্থীরা আসতে শুরু করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মন্দির প্রাঙ্গণ।
শাঁখারী পুকুরের চারপাশে পূণ্যস্নানে মেতে ওঠেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীরা।
প্রত্যেক বছর এ মন্দিরে মাঘী পূর্ণিমা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস শাঁখারী পুকুরে স্নান করলে অতীত জীবনের পাপ মোচন হয়। সেই আশায় হাজারো পূণ্যার্থী মন্দিরের পুকুরে স্নান করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এই স্নানোৎসব।
মা ভবানী মন্দির সংস্কার ও উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিমাই ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, তিথি অনুযায়ী মাঘী পূর্ণিমা উৎসবে যোগ দিতে আগের দিন রাত থেকেই পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন। তারা মন্দির এলাকা ও স্বজনদের বাসাবাড়িতে রাত কাটান। পরদিন তারা স্নানোৎসবে মেতে ওঠেন।
কামনা রানী ঘোষ, জুঁই সাহা, শাপলা ব্যানার্জী, হিরেণ মৈত্রসহ হাজারো ভক্ত এসেছেন মা ভবানী মন্দিরে। অতীত জীবনের পাপ মোচনের আশায় দলবেধে সোজা শাঁখারী পুকুরে চলে যান তারা। এরপর পূণ্যস্নান উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই।
এরপর সারিবদ্ধভাবে মা ভবানীর সামনে সবাই উপস্থিত হন। সেখানে পূজা অর্চনা শেষে দেন বিভিন্ন ভোগ সামগ্রী।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার বাংলানিউজকে জানান, উপমহাদেশের ৫১টি পীঠস্থানের মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমা উৎসবে যোগ দিতে ভারত, শ্রীলংকা, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন।
রাজশাহী থেকে আসা অলোক সরকার বাংলানিউজকে বলেন, মায়ের দর্শন পেতে এখানে এসেছি। পুকুরে স্নান করেছি।
নরসিংদীর করুণা সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মায়ের কাছে আসলে দেহ-মন পবিত্র হয়। মায়ের কাছে কিছু চাইলে মা কাউকে খালি হাতে ফেরত দেন না। সবার মনোবাসনা পূরণ করেন।
মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছে মেলা। মেলায় বিক্রি হচ্ছে মিষ্টান্ন সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির খেলনা, নানা ধরনের তৈজসপত্র।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও রয়েছে বলে জানান নিমাই ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/বিএস