ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘অর্থ সংকটে ৩ বার হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
‘অর্থ সংকটে ৩ বার হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যায়’ বক্তব্য রাখছেন আ হ ম মুস্তাফা কামাল। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: অর্থ সংকটের কারণে স্কুলে পড়ার সময় সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বার হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এই স্মৃতিচারণ করেন। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের (এনডিএফবিডি) উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় বিতর্ক উৎসবের সমাপনীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুস্ত‍াফা কামাল বলেন, মানুষের সব দিন সমান থাকে না। অর্থ সংকটে থাকায় বেতন দিতে না পারার কারণে স্কুল জীবনে সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বার নাম কাটা গিয়েছিলো। আমি ছাত্র ভালো হওয়ায় গ্রামের মানুষ বেতন দিয়েছিলো। এসএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করতে পারছিলাম না টাকার অভাবে। গ্রামের মানুষ সেই টাকা দিয়েছিলো। টিউশনি করে পড়ালেখা করেছিলাম। এভাবেই কষ্ট করে ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। কারও মেধা থাকলে তা অবশ্যই বের হয়ে আসবে।  

অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বিশ্বের অর্থনীতির মানচিত্রে বাংলাদেশ ছিলো না। পৃথিবীর মানচিত্রে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির ২০টি দেশের একটি হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালসহ অতিথিরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরতিনি বিতর্ক উৎসবে অংশ নেওয়া বিতার্কিকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের বিতার্কিকরা পুরো বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করবে। বিতার্কিকদের চিন্তায় থাকবে স্বপ্নের হরিণ, যা মুঠোয় নিতেই হবে। আমাদের চিন্তা চেতনায় থাকতে হবে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সবচেয়ে সম্মানজনক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।  

মন্ত্রী তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে বলেন, তরুণরা হেরে যাওয়ার জন্য পৃথিবীতে আসেনি। তারা জয়লাভ করে বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ।  

এনডিএফবিডির চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব বলেন, বিতার্কিকদের সৃজনশীলতাকে আরও পরিশীলিত করতে আমরা এ ধরনের নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমারা অর্থনৈতিকভাবে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পাইনি। কিন্তু আমরা থেমে থাকিনি। আমরা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। কারণ বিতর্ক মানুষ গড়ার শিল্প। তাই এই শিল্পকে ধারণ করে আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। এতে গড়ে উঠবে আলোকিত প্রজন্ম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ, এনডিএফবিডির কো-চেয়ারম্যান রুশ্মি ফাতিমা মুক্তি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ডিএসসি) ডেপুটি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
ইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।