ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর ফরিদপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা/ ছবি: বাংলানিউজ

ফরিদপুর: ফরিদপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন।

অবশিষ্ট সাতটি মরদেহের মধ্যে পাঁচজনের স্বজন হাসপাতালে আসলেও মরদেহ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তা শনাক্ত করতে পারছেন না স্বজনরা। বাকি দু’জনের পরিবার এখনো কোনো যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চন্দ্র দাস।

যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার বাসিন্দা ডা. গোলাম রসুল সিকদার। বাসের চালক হেমায়েত মোল্যা, হেলপার জুয়েল মোল্যা, আলমগীর হোসেন, শাহাজাহান মোল্যা। তাদের বাড়ি নড়াইল জেলায়। অপরজন কাভার্ডভ্যানের চালক আসাদুজ্জামান। তার বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা গেছে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তা স্বাভাবিকভাবেই শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। যাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ১৫-২০ দিন সময় লাগতে পারে।
 
গোপালগঞ্জ সদরের ডা. গোলাম রসুল এর মরদেহ তার পরনের কোট ও টাইয়ের অংশ দেখে শনাক্ত করেছেন তার স্বজনেরা।

ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ময়না তদন্ত শেষে স্বজনরা যাদের মরদেহ শনাক্ত করতে পারছেন তাদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাকিদের প্রপার আইডেন্টিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ বহনের ব্যয় জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকায় নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৩২৩) হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা পারভেজ ট্রান্সপোর্টের একটি কাভার্ড ভ্যানের (ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৫০৭০) মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
আরকেবি/আরআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।