শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বুডিরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া এলাকার সাবেক মেম্বার মো. আবুল বাসার এ অভিযোগ করেন।
আবুল বাসার জানান, রেহানিয়া এলাকায় তার কাঠের স’ মিল, মাছ ও কৃষি চাষাবাদের ব্যবসা আছে।
সাবেক এ মেম্বারের দাবি, ওই মাদক ব্যবসায়ীদের চক্ষুশূল হওয়ার কারণে সেই চক্র পুলিশ দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল বড়ুয়া একটি মাদকের মামলায় তাকে দুই নম্বর আসামি করেন। সেসময় তিনি ব্যবসার কারণে চট্টগ্রাম ছিলেন।
আবুল বাসার বলেন, মামলার পরদিন সকালে এসআই দুলাল বড়ুয়া মোবাইল ফোনে বিষয়টি অামাকে জানান এবং গ্রেফতারের ভয় দেখান। আমি এখন সম্মান ও গ্রেফতারের ভয়ে নোয়াখালীর মাইজদীতে আছি। গ্রেফতারের আতঙ্কে এলাকায় যেতে পারছি না।
আবুল বাসার আরও দাবি করেন, তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলা থেকে তার নাম বাতিলের অনুরোধ করেন। এতে এসআই দুলাল বড়ুয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসআইয়ের সঙ্গে ফোনালাপের রেকর্ডও সাংবাদিকদের শোনান আবুল বাসার।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের গ্রেফতার ও হয়রানির ভয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তার অনুপস্থিতিতে পুলিশ দুই দফায় তার বাড়ি-ঘরে তল্লাশি চালিয়েছে। বাসার এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও জেলা পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে এসআই দুলাল বড়ুয়া তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এইচএ/