রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ১২ জনের নাম জানা গেছে।
এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ফারজানা (৩৫), তার ছেলে মারুফ (১০), কামরুন নাহার লিপি (৪০) ও কাওসার মিয়া (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেলাবো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে শারমিন ও তার ছেলে রাব্বীসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় শারমিনের। পরে রাব্বীকে রাজধানীর কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে চারটার দিকে রাব্বীও মারা যায়।
পুলিশ জানায়, সকালে কামরাঙ্গীচর থেকে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি ছাতিরচরে যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দড়িকান্দি বাজারে বিপরীত দিক থেকে আসা অগ্রদূত পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থালেই দুই শিশু ও চার নারীসহ ১১ জন নিহত হন। এসময় আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ভৈরবসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনাস্থল থেকে বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মসহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দু’টি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মোজ্জাম্মেল হক, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবিবা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭/আপডেট: ১৮১০
এসআই