নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করতে পারলেও রাস্তায় অবৈধ পার্কিং প্রতিরোধ করা সহজ হবে না। এজন্য কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।
সরকারি বেসরকারি আফিস আদালত থেকে শুরু করে রাজধানীর অলিগলিতে কিংবা অতি ব্যস্ততম ফুটপাথ কোনটাই বাদ পড়ছে না অবৈধ পার্কিংয়ের থাবা থেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে অফিস বা ব্যবসায়িক কাজ সারছেন মালিকরা। যার ফলে যানজটে ও দুর্ভোগে নাকাল রাজধানীবাসী।
এই চিত্র এখন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার। গুলশান, বনানী, মিরপুর, আগারগাঁও, ধানমন্ডি, মতিঝিল, দিলকুশা, বায়তুল মোকাররম, জিপিও, এমনকি হাতিরঝিল রোডেও অবৈধ পার্কিং এখন নিত্যদিনের চিত্র।
দিনের ব্যস্ততম সময়ে আগারগাঁয়ের পাসপোর্ট ভবন এবং এলজিইডি ভবনের সামনের রাস্তায় প্রায় শতাধিক গাড়িকে সারিবদ্ধভাবে পার্কিংয়ে থাকতে দেখা যায়। এর ফলে রাস্তা এতই সরু হয়ে পড়ে যে পাসপোর্ট অফিসে কাজে আসা মানুষগুলো যানবাহন নিয়ে ওই সড়কে প্রবেশই করতে পারেন না।
অবৈধ এই গাড়ি পার্কিং নিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশ শেখর বিশ্বাস বলেন, রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন ৪০-৪৫টির মতো নতুন প্রাইভেট কার নামছে। অথচ রাজধানীতে প্রয়োজনের অনুপাতে রাস্তা বাড়ছে না।
এ ব্যাপারে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করা সহজ হলেও রাস্তায় পার্কিং বন্ধ করা সহজ হবে না। তবে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করলে, আর বিল্ডিং কোড অনুযায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে, এর থেকে মুক্তি মিলতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং। এ সমস্যা সমাধানে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত সমাধান আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এসটি/আরআই