যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বলেন, মার্কিন কোর্ট এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এ নির্বাহী আদেশের কার্যকারিতা আপাতত নেই।
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, নিষেধাজ্ঞার টার্গেট এই ৭টি দেশের বাইরে নতুন করে আরো দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন এহেন বৈরী পদক্ষেপের পাঁয়তারা করতে পারে। এদিকটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তবে অহেতুক অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন বা শংকিত হবার কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে যারা নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন তাদের বাংলাদেশে যাওয়া-আসায় বাধা নেই। কিন্তু যারা এখনও নাগরিকত্ব পাননি তাদের আপাতত দেশে ফেরাটা হবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভুল। তাদের এখন দেশে আসা উচিৎও নয়। কারণ যারা ওখানে অনিবন্ধিত অবস্থায় আছেন, তাদের আপাতত যু্ক্তরাষ্ট্রেই থাকা উচিৎ। যদি বলা হয়, তাদেরকে চলে যেতে হবে তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে অবস্থান ট্রাম্প নিয়েছেন তার প্রতিবাদ কিন্তু উদারমনা ইহুদিরাও করছে। তাই প্রয়োজন হলে অন্যে দেশের মানবতাবাদী মুসলিম,হিন্দু,খৃষ্টান ও ইহুদি---সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমানও এইদিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন সব কিছুই সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোর্ট এরই মধ্যে ট্রাম্পের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছে। ট্রাম্পকে বুঝতে হবে তার ‘লিমিট অব পাওয়ার’ সম্পর্কে। কোর্টের স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকলে এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। এখন বাংলাদেশিদের করার কিছু্ নেই। এখনতো বাংলাদেশিরা টার্গেটও নয়। ৭টি মুসলিম দেশ ছাড়াও আরো কিছু দেশকে সেকেন্ড র্যাংকিং—এর আওতাভূক্ত করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন ওয়েট অ্যান্ড সি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা শীতকালেই বেশি বেড়াতে আসেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন এয়ারপোর্টে গিয়ে তাদের নিজেদের এক্সপোজড করার কোনো দরকার দেখছি না।
তিনি বলেন, এ-নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে কোর্টের পরিধি আরো বাড়তে পারে। আমার মনে হয়, আপিল কোর্ট বিশেষ পদক্ষেপ নেবে, এনিয়ে যেন বেশি বাড়াবাড়ি না হয়। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে রীতিমতো যেন রেপিড ফায়ার শুরু করে দিয়েছেন। এটা তো মানুষ মেনে নিতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বেশি নেই। সেখানে তাদের লবিং পাওয়ারটাও কম। অন্য দিকে বাংলাদেশিদের অ্যালায়েন্স নেই।
চীন, জার্মানি সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখন অবস্থান করলে আইনিন সমর্থন বেশি পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গেলে তখন কোনো তা পাওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া বাংলাদেশিদের অ্যালায়েন্স গড়ে তোলা খুবই দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
কেজেড/জেএম