রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি অফিসের আসাদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।
তবে, এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সাবেক কার্যনির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি কামাল সিদ্দিকী হকারদের চাঁদাবাজির বিষয়টি কৌশলে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, হকাররা আগে চাদাঁবাজি করতো। কারণ অবৈধভাবে হকাররা ব্যবসা করে। সেক্ষেত্রে পুলিশ বিরক্ত করতো। তাই সবাই মিলে নেতাদেরকে টাকা তুলে দেওয়া হতো। যাতে পুলিশ বা স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা হকারদের বিরক্ত না করে।
এখন আর কেউ এ ধরনের চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্যই আমরা সরকারের কাছে হকারদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। হকার্সদের জাতীয় নীতিমালা তৈরি করলে এ ধরনের চাদাঁবাজি আর থাকবে না।
সংগঠনের উপদেষ্টা সেকেন্দার হায়াৎ বলেন, গত ১৯ এপ্রিল একনেকের সভায় সিটি কর্পোরেশনকে হকারদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছিল। তা না করে বল প্রয়োগ করে আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আজ আমরা যখন আন্দোলন করছি, তখন আমাদের দুর্বল করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. রাজ্জাক বলেন, এলাকার সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের সাথে আমরা কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন এ উচ্ছেদ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এবং তিনি এটাও আমাদেরকে জানিয়েছেন যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও মেয়র কিছু জানাননি।
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এরপর পুনর্বাসনের দফায় দফায় প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে হকার্স ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে ৭৬ জন হকার্স নেতাকে আসামি করে থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
জেডএফ/পিসি