রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
এরআগে, বিকেল সাড়ে ৪টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকলের উচিত হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলা। সেদিন প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন সেটিই সঠিক। দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, প্রমাণ করতে হবে দুর্নীতি আছে কিনা? আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই তিনি বিজয়ী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কখনও মাথা নত করেননি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মাথা নত করেন না।
বিশ্ব ব্যাংক সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল। কয়েক জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সেদিন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক। আজ প্রধানমন্ত্রীর কথা ধরেই বলতে চাই আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশ দুর্নীতির কাছে মাথা নত করেনি।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, যারা দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল এরা কারা? এরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তারা অপপ্রচারে নেমেছিল। যারা এতবড় ক্ষতি করল তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, এই দুর্নাম তাদের সারা জীবন বহন করতে হবে, এর দায় কে নেবে? এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে খুশি হব।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির সরকারের আমলেও বিশ্বব্যাংক শর্ত ছাড়া বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে চাইনি। এই প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা শক্তিদের তৈরি একটি প্রতিষ্ঠান। আফ্রিকার দেশগুলোকে তারা শোষণ করে। বিভিন্ন দেশে তারা তাদের কোম্পানিকে প্রমোট করে। এখন প্রতিবাদ করার সময় এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এসকে/এসএম/পিসি