প্রিয়জন হারানোর বেদনায় কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে ছাতিরচর গ্রামের আকাশ-বাতাস। এমন বিভীষিকাময় মৃত্যুর ঘটনা এ গ্রামের আগেও কখনো ঘটেনি।
নিহতদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- শারমিন (১৮), মানিক মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী মাফিয়া খাতুন (৪৫), ছেলে আনসার আলম (১২), হাছান মিয়া (৪০), তার স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), ছেলে ইশান মিয়া (১০), সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী সাধনা আক্তার (৪০), বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ঝুমা আক্তার (১৫), হিরা মিয়া (৪৫) ও মরম আলীর ছেলে নাজমুল (৩০)। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচর গ্রামে। তারা সবাই শ্রমজীবী মানুষ। নিহতদের ছাতিরচর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত হিরা মিয়ার মেয়ে নাইমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাবা ঢাকায় মাইক্রো চালাতো। এখন আমার আর কেউ রইলো না। ’
ছাতিরচর গ্রামের এরশাদ আলম বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষ এমন মৃত্যু কখনও দেখেনি। একসেঙ্গ এক গ্রামের ১২ জনের মৃত্যু হওয়ায় পুরো গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এনটি/টিআই