সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মো. মাসুম বিল্লাহকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি শাহ আরেফিন টিলা ধসে পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর পাথর উত্তোলন বন্ধে কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপরও পাথর তুলতে গিয়ে ফের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। যে কারণে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফের শাহ টিলা কেটে পাথর উত্তোলনকালে মাটিচাপা পড়ে আনিছ (৩৬) নামে এক শ্রমিক মারা যান। এতে আহত হন আরও তিন শ্রমিক। এদিন পাথর কোয়ারি মালিক আব্দুল কাদেরকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার দিন বিকেলে টিলা ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কর্তব্য অবহেলার দায়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েস আলমকেও প্রত্যাহার করা হয়।
এরআগে, ২৩ জানুয়ারির শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত কমিটি প্রশাসন ও পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পায়। ৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কাছে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন অতিরিক্ত পুলিশ।
এদিকে, শাহ আরফিন টিলায় কোয়ারি ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই ) আরিফ উল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্তরা হলেন, কোয়ারির ভূমি মালিক মনোয়ারা বেগম, আব্দুল কাদির, আব্দুল করিম ও রুবেল মিয়া।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, এজারহারভুক্তদের মধ্যে আব্দুল কাদির ও মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এনইউ/এনটি/এসএইচ