রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি।
শেখ সেলিম বলেন, অর্থায়ন বন্ধ করে আজকে আমাদের যে ক্ষতি হল।
তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মাসেতু করার ঘোষণা করেছিলেন। তাই যখন সবকিছু ঠিকঠাক হলো তখন বিশ্বব্যাংক হঠাৎ করে কথা নাই বার্তা নাই দুর্নীতির কথা বলে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার নেতৃত্বকে জনসম্মুখে হেয় করার জন্য বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে কানাডা কোর্টে মামলা করেছে।
তিনি বলেন, এইখানেও কিছু বুদ্ধিজীবী, এনজিও এবং টিআইবি-এই সকল সংস্থা এটাকে ফলো করে প্রচার শুরু করে। তারা এমনভাবে বলা শুরু করল যেন, এমন দুর্নীতি বাংলাদেশে আর হয় নাই। আসলে এটা ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। কিন্তু ওই আহাম্মকরা জানে না, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। উনি ভাঙবে তো মচকাবেন না, কারও কাছে মাথা নত করবেন না।
শেখ সেলিম বলেন, আপনারা প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এদেশ স্বাধীন হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এদেশের মানুষ কখনো কারও কাছে, অসত্যের কাছে মাথা নত করে নাই। ভবিষ্যতেও করবে না। তাই যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী ওইসময় টেলিভিশনে কথা বলতে বলতে বলেছিল, আওয়ামী লীগ এমন দুর্নীতি করেছে, এই দুর্নীতি বিশ্বের আর কোনো দেশে কখনো হয় নাই। সেই সব বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এরা বুদ্ধিজীবী না চুক্তিজীবী। এরা বিদেশি অর্থ নিয়ে, তাদের টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে কথা বলে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু একটা দেখলেই ফলোআপ করে কিছু লিখবেন না। আপনারা ঘটনায় কি ঘটল সেইটার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে লিখিয়েন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এসকে/এসএম/পিসি
**‘রাষ্ট্রকেই বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে’
**‘বিশ্ব ব্যাংকই দুর্নীতিগ্রস্ত’
**পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকারীরা দেশের শত্রু
**‘বিশ্ব ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’
**পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের সংসদে তলবের দাবি
**একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মালা সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে