ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় রুপি বাতিলের প্রভাব কাটায় স্বাভাবিক হলো বাণিজ্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ভারতীয় রুপি বাতিলের প্রভাব কাটায় স্বাভাবিক হলো বাণিজ্য ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল (যশোর): হঠাৎ করে ভারতীয় ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছিল বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। এছাড়া বিরূপ প্রভাব পড়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে। তবে নতুন রুপি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।  

রুপি সংকটে বাংলাদেশি টাকার মান কমে যাওয়ায় লোকসানের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্যে স্থবিরতা ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত কমে গিয়েছিল।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোলের মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী আবুল বাশার বাংলানিউজকে জানান, নতুন রুপির সরবরাহ এখন স্বাভাবিক হওয়ায় বাংলাদেশি টাকার মান বেড়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশি ১০০ টাকার বিপরীতে ভারতীয় ৮৩ রুপি পাওয়া যাচ্ছে। রুপি বাতিলের খবরে ওই সময় বাংলাদেশি ১০০ টাকায় মিলতো মাত্র ৬০ রুপি।

অপরদিকে, ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টের মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী মহাদেব ঘোষ জানান, তারা বর্তমানে ১০০ ইউএস ডলারের বিপরীতে ৬৮ রুপি দিচ্ছেন। যা ওই সময় ছিল ৬২ রুপি।

ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী যশোরের বিকাশ আইচ জানান, রুপি বাতিলের মধ্যে তিনি ভারতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। এক হাজার বাংলাদেশি টাকা ভাঙিয়ে রুপি করতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। দু’দিন আগে তিনি আবার ব্যবসার কাজে ভারতে গিয়ে দেখেছেন, রুপি সংক্রান্ত সমস্যা আর নেই।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, রুপি বাতিলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। ভারতীয় ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রুপি বন্টন কমিয়ে দেওয়ায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এতে সেখানকার ব্যবসায়ীরা আপাতত আমদানি পণ্যের এলসি না পাঠাতে অনুরোধ জানায়। রুপি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এখন তারা আবার এলসি পাঠানোর জন্য খবর পাঠিয়েছেন। এখন বাণিজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।

ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বেনাপোল শাখার বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, ওই সময় নিয়মিত আমদানি-রফতানিকারকদের অনেকে ব্যাংকে কোনো লেনদেন করেনি। এখন দেখছি, তারা আবার ব্যাংকে ফিরে আসছেন। এতে মনে হচ্ছে সংকট কেটে গেছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তিতুমীর আহম্মেদ জানান, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হয়েছে ৯৭ ট্রাক বাংলাদেশি পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪০০ ট্রাক পণ্য।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিদিন এ পথে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু ভারতীয় রুপি বাতিলে এই সংখ্যা কমে নেমেছিল এক থেকে দেড় হাজারে। এখন আবার যাতায়াত বেড়েছে। ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশি-বিদেশি ১৩ হাজার ৪৮৪ জন যাত্রী যাতায়াত করেছে।

উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হঠাৎ করে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এজেডএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।