সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার তিলক গ্রামের তরফদার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পরাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরাগ রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের খতিবুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
আটক খায়রুলের স্ত্রী তামান্না ও তার শাশুড়ি খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আটকরা হলেন- পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ মোট ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
নিহতের চাচাতো ভাই সরদার কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিলক গ্রামের মৃত মুরাদ শেখের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে পরাগের চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বিয়ে হয়। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পরাগ শাশুড়ির ফোন পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তার সঙ্গে প্রায় দুই লাখ টাকাও ছিলো। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করলে সেখানে যায়নি বলে তারা জানান।
এরপর সারা রাত খোঁজা খুঁজির পর এক পর্যায় রক্তের দাগ দেখে তরফদার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তার মরদেহ দেখতে পাই। পরাগকে খোঁজার সময় রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি জানান। তবে পরাগের মোটরসাইকেল ও টাকা পাওয়া যায়নি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাশুড়ি, স্ত্রী ও মামা শ্বশুর হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমআরএম/জিপি/বিএস