সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ, ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল, এসআই মজিবুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, আবু হানিফা, সজল ও কনেস্টবল হাবিব, মোতালেব এবং শ্রমিক মো. ইব্রাহীম (২৮), মিজানুর রহমান (২৮), রাসেল (২৫), দুলাল চৌকিদার (৪৫), কবির (৩০), বাশার (২৫), জুয়েল (৩৮), আবুল কালাম (২২), তৈয়ব গাজী (৬৫), ছালাম মাতুব্বর (৩৮) ও মজিবর মাতুব্বরসহ ২২ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমতলী বাস মালিক ও অটোরিকশা মালিকদের মধ্যে রুটে গাড়ি চলাচল নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ বিষয়ে সকালে বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুরুজ্জামান, পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ও আমতলী ইউএনও মো. মুশফিকুর রহমান ইউএনও’র কক্ষে দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসার কথা ছিলো। প্রশাসন উভয় পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান করে।
এদিকে, সকাল ১০টার দিকে বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকরা বাধঁঘাট চৌরাস্তায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশের সাত সদস্যসহ ৩০ জন আহত হন। পরে বরগুনা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বরগুনা জেলা বাস-মিনি মালিক গ্রুপের লাইন সাধারণ সম্পাদক মো. স্বজল মৃধা বাংলানিউজকে জানান, অটোরিকশা আমতলী সড়কে অবৈধভাবে চলাচল করে। সোমবার সমঝোতা বৈঠকে যাওয়ার সময় অটোরিকশা শ্রমিক মালিকরা মাথায় লাল গামছা বেঁধে লাঠি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ১৪টি অটোরিকশা বাস মালিক শ্রমিকরা ভাঙচুর করেছে। অটোরিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দু্ই দল শ্রমিকের সংঘর্ষের কারণে সমঝোতা বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।
বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বাংলানিউজকে জানান, বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭ আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা
এনটি