১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন অর্ডারকে বাংলায় অনুবাদ করে আপডেট করা হয়েছে বলে জানিয়েন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চেয়ারম্যান ও অনধিক চার জন সদস্য নিয়ে কমিশন গঠন হবে।
কমিশনের কাজের মধ্যে রয়েছে, খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবেশের ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির নকশা তৈরি এবং ব্যবহারিক সামগ্রীর উন্নয়ন, শিক্ষা ও সেবা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা; পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন; গবেষণা ও উন্নয়ন; তেজস্ক্রিয় পদার্থ উৎপাদন, উত্তোলন ও বাজারজাত সম্পর্কিত অনেকগুলো কাজ আছে।
এছাড়াও কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন
মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট পরিমার্জনা করে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনে বিভিন্ন গবেষণা; প্রয়োজনীয় সংখ্যক গবেষণাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা; নতুন জাত ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ, দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
এছাড়া নতুন জাত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মহাপরিচালক হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। বার্ক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে সদস্য নিয়ে বোর্ড গঠিত হবে। গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ, নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রদানসহ নয় ধরনের কাজ করবে বোর্ড।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের নীতিগত অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজশাহী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের আদলে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ