খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘পৃথিবীকে সুন্দর ও জীবনকে সহজে বহনযোগ্য করতে নারীর অবদানকে স্বীকার করতেই হয়। নারীর সহনশীলতা ও কষ্টসহিষ্ণুতা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও তাদের যোগ্যতা ও গুণাবলীকে দমিয়ে রাখা যায়নি। যুগে যুগে নারীর এ সর্বংসহা বৈশিষ্ট্য তাকে গরিয়ান-মহিয়ান করেছে’।
‘নারীরা কখনও সম্পদ নষ্ট করেন না, তারা যা কিছু পেয়েছেন, সেই সম্পদকে উপযুক্তভাবে কাজে লাগিয়েছেন’।
সমাজের অসহায় নারী ও শিশুদের খুঁজে বের করে তাদের জন্য পৃথক ডাটাবেজ করার কথাও বলেন তিনি।
মো. আবদুস সামাদ বলেন, নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে অসহায় নারীদের সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। বক্তব্য দেন বিএল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জাফর ইমাম ও নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের পিপি অলকা নন্দা দাস। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জামিন।
খুলনা বিভাগের প্রত্যেক উপজেলা ও জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজন করে জয়িতা নির্বাচিত হন। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে মনোনীত ৫০ জনের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন।
বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত এবারের শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে অভয়নগর উপজেলার জুবাইদা নাজনীন ডলি, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী রূপসা উপজেলার নাছিমা খাতুন, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে ফুলতলার রাজিয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা যশোরের বিলকিস আক্তারী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নড়াইলের কানন বালা গুপ্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমআরএম/এএসআর