সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পানামা সমুদ্র থেকে আরমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ বর্তমানে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
আরমানের সঙ্গে থাকা তার ভগ্নিপতি শাহেদ কামাল সুজন মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
আরমান নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের এনামুল হকের ছেলে।
আরমান শেখের বড় ভাই রাসেল বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরমান সবার ছোট। গত ৬ মাস আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার এক দালাল আরমানকে আমেরিকা পাঠানোর জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা নেয়।
পরে আরমানকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে প্রথমে ওমানে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আফ্রিকায় নেওয়া হয়। পরে আফ্রিকা থেকে আমেরিকা নেওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটা হয়। কিন্তু সেখানকার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে পুনরায় আফ্রিকায় ফেরত পাঠায়।
রাসেল আরও জানান, আরমানের সঙ্গে সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে কথা হয়। এসময় আরমান বলে, ভাইয়া মেক্সিকোর একটি নদীর পাড়ে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে নদী পাড়ি দেবো। আমার সঙ্গে আরও চার জন রয়েছে। নদী পাড়ি দেওয়ার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর কয়েকদিন জেলে থাকতে হবে। ১০-১২ দিন পর আবার ফোন করবো। কিন্তু এখন শুনছি আমার ভাই সাগরে ডুবে মারা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এজি/আরএ