উদাসী হাওয়ায় বসন্তের প্রথম দিনেই প্রকৃতির ছোঁয়া নিতে রামিসার সঙ্গে যোগ দিয়ে পথে নেমেছেন আনিকা গুলজার, ইসরাত ইভা, তানজিনা ইতিদের মতো তন্বী-তরুণীরা। তাদের কারো কারো মাথায় ফুলের মুকুট।
বাসন্তী রঙের বাহারি সাজে তারাও হয়ে উঠেছেন বাসন্তী কন্যা। তারুণ্যের এ সাজের উৎসবে এক অপূর্ব মিলনমেলা তৈরি হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে।
এ তারুণ্যের আহবানে ফাগুন হাওয়ায় দোল লেগেছে যেন নিঃসর্গ প্রকৃতিতেও। মৃদুমন্দ বাতাসে ফুলের গন্ধে ঠিকই জানিয়ে দিলো ঋতুর রাজা বসন্তই।
ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতেই সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে তারুণ্য। ফাগুনের প্রথম দিনেই বাসন্তী রাঙা শাড়ি পরে পথে নামেন অনেকেই।
খোঁপায় গাঁদা ফুল আর কপালে লাল টিপে বাঙালি নারীর পূর্ণ রূপে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী আইরিন আক্তার লুৎফা।
ফুলের সৌরভে রঙিন হওয়ার দিনে বসন্ত সাজে এসেছেন নগরীর জয়নুল উদ্যানে। সঙ্গী বান্ধবী সাদিয়া তাসনুভা ও সাদিয়া রহমান।
বয়সে প্রবীণ হলেও নিজেদের খানিক সময়ের জন্য তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা ভাসাতে দেখা গেলো অনেকেই। তাদেরই একজন আব্দুস সোবহান (৫০)।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের এ চাকুরে বলেন, আমাদের সময়ে ঘটা করে বসন্ত উৎসব হতো না। এখন বসন্ত মানেই উদ্দীপনা আর প্রাণোচ্ছ্বল উচ্ছ্বাসে মেতে উঠার দিন।
এ উদ্যানেই নুপুরের ঝংকার জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনের কথা। তাদের উপস্থাপনা মুগ্ধ দৃষ্টিতে উপভোগ করেন দর্শকরা।
এ উৎসবে হলুদ পাঞ্জাবিতে দেখা গেলো অনেক তরুণকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় বাড়তে থাকে জয়নুল উদ্যানে।
বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। মিলনের ঋতু বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটা। নির্ভার আনন্দের ধারায় নিজেদের ভাসিয়ে দেয়া, সে কথাই বলছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আইরিন আক্তার লুৎফা।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমএএএম/আরআইএস/এইচএ/