ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লা বিভাগের নাম হবে ‘ময়নামতি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
কুমিল্লা বিভাগের নাম হবে ‘ময়নামতি’

ঢাকা: প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম ‘ময়নামতি’ হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আর কোনো জেলার নামে বিভাগের নামকরণ করা হবে না। নতুন বিভাগের নাম ভিন্ন নামে হবে। হয়তো কোনো পরিচিতো প্রাচীণ ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনার নামে হবে। সেই হিসেবে কুমিল্লার বিভাগ নাম হবে ময়নামতির নামে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এমন আলোচনা হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগকে ময়নামতি নামকরণ করায় কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। কারণ ময়নামতি নাম করণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনেক সভায় জানানো হয়, এখন থেকে কোনো জেলার নামে বিভাগ হবে না। সংশ্লিষ্ট জেলায় নামকরণ করা হবে কোনো ঐতিহাসিক স্থাপনার নামে।
 
২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ময়মনসিংহকে অষ্টম প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই কুমিল্লাকে বিভাগ করার বিষয়টি উঠে আসে। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙে নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে পৃথক বিভাগ করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নির্দেশনা দেন।  

২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগের চার জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় অনুমোদন পায়।

একনেক সভায় রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। রেলক্রসিং প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে যেখানেই রেল ক্রসিং থাকবে সেখানে ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে। কারণ রেলক্রসিংয়ের কারণে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সৃষ্টি হয় যানজট। এমনভাবে ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে যাতে করে ওপরের ওভারপাস দিয়ে যানবাহন চলবে এবং নীচ দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। রেলক্রসিংগুলোতে ওভারপাস নির্মাণ করার পরে সড়কের যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনের কোনো দেখা মিলবে না।
 
৩ হাজার ৬৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।  
 
প্রকল্পগুলো হলো, ৯৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প’, ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘আলীকদম-জালানীপাড়া-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতিকরণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।  
 
কোর্ট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বৃহত্তর নোয়াখালী পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন-২ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
 
৩৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং উপজেলা পর্যায়ে নারীদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্পটি ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।  
 
অন্যদিকে ‘ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা।  
 
১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সাভার সেনানিবাসে মিলিটারি পুলিশ সেন্টার ও স্কুল নির্মাণ প্রকল্পও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি, সিসিটিভি, ক্যামেরা ও সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার সরবরাহ ও স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ৬৬৬টি এলইডি লাইট ফিটিংস, পাঁচ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ১ হাজার ৫১৬টি সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার-১ ইউনিট স্থাপন করা হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ
**
এক ব্যক্তির স্বার্থের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে
**একনেকে ১১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।