স্থানীয় পরিবহন সমিতির নেতারা লিজের জায়গাটিতে অবৈধ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার লেগুনা আর সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়েছেন। ফলে এখানে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ভোগে পড়ছেন মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভালুকা ফুটওভার ব্রিজের নিচেই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী দুই লেনের প্রায় অর্ধেকটাই দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ডটি। ভাড়ায় চালিত তিন শতাধিক মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার মহাসড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে আছে।
একটি নোয়া মাইক্রোবাসের মালিক ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘খানিকটা সামনেই বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে গাড়িগুলো রাখার নিয়ম রয়েছে। সড়কের ওপরে গাড়ি থাকলে ট্রিপ ধরা সহজ। মাঝে-মধ্যে পুলিশ এসে হানা দিলে তখন এ স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আবারও বসানো হয়’।
মাইক্রোবাস চালক তাহের ও মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে শহীদ মিনার মাঠে অস্থায়ীভাবে গাড়িগুলো রাখা হতো। মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত হওয়ার পর থেকে এখানে রাখা হচ্ছে। পুলিশকে ম্যানেজ করেই সব হয়’।
তবে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চালক সঞ্চয় ও সমবায় সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম ফকরুলের দাবি, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের শেল্টারে স্ট্যান্ডটি পরিচালনা করছেন তারা। |
এদিকে রিজার্ভ চুক্তিতে এখান থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাতায়াত করছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও পিক-আপ। ফলে এসবে যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ডেও পরিণত হয়েছে সড়ক পয়েন্টটি।
ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী রাজিব পরিবহনের এক চালক অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কঠোর নির্দেশের পরেও মহাসড়কের ওপরেই অটোরিকশা-লেগুনা স্ট্যান্ড বহাল তবিয়তে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রহস্যজনক কারণে পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না’।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল আহসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘মহাসড়ক দখল করে স্ট্যান্ডের জন্য ইজারা দিয়েছে পৌরসভা। এটি সরিয়ে নিতে তাদেরকে বারবার তাগাদা দিয়েছি, কিন্তু কর্ণপাত করছে না। জেলা প্রশাসককেও বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে’।
ভালুকা পৌরসভার মেয়র ডা. মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মহাসড়ক ইজারা দেওয়া হয়নি। নির্ধারিত স্থানটি উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলো রাখা যাচ্ছিলো না। তাই ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গাড়িগুলো রাখতে বলা হয়েছে’।
তবে স্ট্যান্ডের জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান মেয়র।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএএএম/জিপি/এএসআর