ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নানান আনুষ্ঠানিকতায় খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালন

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
নানান আনুষ্ঠানিকতায় খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালন খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালন/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: সুন্দরবনকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে স্থায়ী রূপ দেওয়ার আহ্বানের মধ্যদিয়ে খুলনায় পালিত হলো সুন্দরবন দিবস।

‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সুন্দরবন ঘেরা জেলাগুলোতে দিবসটি পালন করা হয়। খুলনায় দিবসটির কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ছিল তিন দিনব্যাপী।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. দিলীপ দত্ত, ইউএসএইডের ওয়াইল্ড টিমের বাঘ অ্যাকটিভিটির চিফ অব পার্টি গ্রে এফ. কলিন্স, জিআইজেডের প্রিন্সিপ্যাল অ্যাডভাইজর ওমর ইডিও, ইউএসএইডের ক্রেল প্রকল্পের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর শেখ মো. জিয়াউল হক।

রূপান্তরের কর্মসূচি সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।
 
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাওয়া সেন্ট জোসেফ হাই স্কুলের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত খুলনা জিলা স্কুলের আলিফ আল জামান এবং তৃতীয় রেভাঃ পলস হাই স্কুলের ফারজানা আক্তারও বক্তৃতা করে।

‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ’ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় হারম্যান মেইনর স্কুলের সায়িমা তাসনিম অরনি প্রথম, খুলনা জিলা স্কুলের ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় এবং হারম্যান মেইনর স্কুলের গ্রন্থী মন্ডল তৃতীয় স্থান লাভ করে।

অনুষ্ঠানে অংশ দেওয়া ২৩টি বিদ্যালয়কেও শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়। আয়োজক সুন্দরবন একাডেমি ও সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।

বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা, রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনের পটগান দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু বন বিভাগের কিছু কর্মী দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে যে সুন্দরবনের যে কোনো ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

এর আগে খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে রয়্যাল মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতিসংঘ শিশু পার্কে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।


সুন্দরবন একাডেমি ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তর, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্রুপ ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন  উপজেলায় সুন্দরবন দিবসের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআরএম/ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।