ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

উৎসবের আবহে চলছে ভালোবাসার উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
উৎসবের আবহে চলছে ভালোবাসার উদযাপন ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। তবে এ ভালোবাসা কেবলি তরুণ-তরুণীর নয়। যেমন বাবা-মার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষের প্রতি মানুষেরও। তাই ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে থাকা পৌরাণিক সব উপাখ্যান ভুলে সবাই মিশেছে একই মোহনায়।

রাজশাহীতে ভালোবাসা ও অনুরাগে পালন হচ্ছে দিবসটি। সাধারণত বছরের এ বিশেষ দিনটিকেই অনেকে বেছে রাখেন মনের যত বাসনা ও অব্যক্ত কথা প্রকাশের জন্য।

তাই বসন্তের মৃদু-মন্দ হাওয়ায় না বলা কথাগুলো আজ তাদের মধ্যে ডালপালা মেলেছে। প্রিয়জনের হাতে রক্তরাঙা গোলাপ দিয়ে বলছেন মনের গহীনে জমানো কথাগুলো।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়।

ভালোবাসার উৎসবে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা রাজশাহী। উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মোবাইল ফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ ভালোবাসার কথার পরিস্ফুটিত হচ্ছে। কেক, চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, প্রিয় পোশাক, খেলনা অথবা বই উপহার দিচ্ছেন প্রিয়জনকে। তাই, সকাল থেকে নগরীর উপহার সামগ্রীর দোকানগুলোর বেচা-কেনাও জমে উঠেছে।

রাজশাহীর পদ্মাপাড়, কেন্দ্রীয় উদ্যান, জিয়া পার্ক, টি-বাঁধ, ভদ্রার শহীদ মনসুর রহমান পার্ক, পদ্মা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনোদনপ্রেমীরা। কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ প্রিয়তম, কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন এসব স্থানে। বেলা যত গড়াচ্ছে ভিড় ততই বাড়ছে।

নগরীর বড়কুঠি পদ্মাপাড়ের ফুচকা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, সকাল থেকেই তার বেচা-কেনা জমে উঠেছে। তবে বিকেলে আরও বেশি মানুষ পদ্মাপাড়ে বেড়াতে আসবেন। তখন তার ব্যবসা পুরোদমে জমে উঠবে। পয়লা ফাল্গুনে সাড়ে তিন হাজার টাকার ফুচকা বিক্রি করেছেন। ভালোবাসা দিবসে তা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এ ফুচকা ব্যবসায়ী।

মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকার ফুল ব্যবসায়ী রাজেশ রায় বলেন, দিবসটি উপলক্ষে লাল গোলাপের চাহিদাই বেশি। তবে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি করা ফ্লাওয়ার রিং বেশি বিক্রি হচ্ছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই তাদের প্রধান ক্রেতা।

তবে তরুণ-তরণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষও আসছেন ফুলের কিনতে। সব ফুলের দাম আগের মতই আছে। শুধু গোলাপের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আনন্দের মুহূর্তে কেউ আর দাম নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন বলে জানান এ ফুল ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।