মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ওই সেবিকার ওপর এ হামলা চালায় সেই বখাটে।
গুরুতর আহতাবস্থায় সহকর্মীরা সাবিনাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার এক প্রকৌশলীর স্ত্রী। বখাটে আতাউর রহমান পাবনা জেলার সুজানগর থানার রজব আলীর ছেলে। তিনি একটি ভাঙ্গায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিলেন।
ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের চিকিৎসক মো. আব্দুল হাকিম বাংলানিউজকে জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভাঙ্গার এই কেন্দ্রে যোগদান করেন সাবিনা। সকালে অফিসে তার রুমে হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। তৎক্ষণাৎ তারা ভেতরে গেলে দেখেন আতাউর রহমান হাতে রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এরপর সাবিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ।
সাবিনার স্বামী বলেন, আমি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করায় প্রায়শই আমাকে ঢাকায় থাকতে হয়। এই সুযোগে ওই ছেলেটি আমার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এ নিয়ে আমি থানায় ওর বিরুদ্ধে একাধিক জিডি ও অভিযোগ করার পরও সে থামেনি। সকালে আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় সে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানায়, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার পর আতাউর পালিয়ে গেলেও তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরকেবি/এইচএ/