আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে শেষ কার্যদিবসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সদস্য নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজের মেয়াদ পূর্ণ হলো ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ওইদিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ দাবি করেন, তার মেয়াদে কোনো চাপ বা ফোন কল পাননি। যা হয়েছে তা ছিল পলিটিক্যাল গেম।
শেষ দিনে কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি। অসহায়ত্বও কখনো বোধ করিনি। তবে আমাদের কিছু ডিসেটিসফেকশন ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সময় একটা রাজনৈতিক দল ও তার জোট নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়নি। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়দায়িত্ব ছিল না। দলগুলো রাজনৈতিক কারণেই নির্বাচনে আসেনি। ইনক্লুসিভ (সব দলের অংশগ্রহণমূলক) না হওয়ায় সে জাতীয় নির্বাচনের কিছুটা ফাঁক রয়েছে। তবে আমরা কোনো অবৈধ চাপ কারো কাছ থেকেই পায়নি। সু্ষ্ঠুভাবেই কাজ করেছি। অসহায়ত্ব বোধ করেছি- যেহেতু ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। এতে আমরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।
এ কমিশনার বলেন, আমাদের মেয়াদে অধিকাংশ নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কিছু নির্বাচনী কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে কিছু কিছু প্রার্থী নির্বাচনে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। সে কারণে কিছু নির্বাচন খারাপ হয়েছে।
রকিব কমিশন ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে নির্বাচন কমিনার শাহ নেওয়াজ একই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয়। তাই রকিউদ্দীনসহ অন্য তিন কমিশনার ৮ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিলেও শাহ নেওয়াজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিলেন।
এদিকে ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি নিয়োগ দেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন শপথ নিয়েই প্রথম অফিস করবেন।
নুরুল হুদা কমিশনের অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্রি. জে. (অব.) শাহাদৎ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ