মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি ও বিশেষ কোটায় ভর্তি উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের কক্ষে এ ভাঙচুর করেন তারা।
পরে দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটার ফলাফল ও বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে দলীয় টেন্ট থেকে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাসের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ব্যবসা অনুষদে অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় তারা ড. শেলীনা নাসরীনকে না পেয়ে তার কক্ষের চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
পরে তারা ব্যবসা অনুষদ থেকে বের হয়ে প্রশাসনিক ভবন এবং পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে যায়। সেখানেও তারা এফ ইউনিটের ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে চান।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে গাছ কাটা এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র তৈরির কাজেও অনিয়মের অভিযোগ এনে তা বন্ধ করে দেন।
এদিকে, ঘটনার পর দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।
এসময় তারা ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটাসহ ছোট ছোট কাজগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে হওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ কোটার বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু তারা প্রশাসনকে কোনো সময় না দিয়েই উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করে। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা ম্যাডামের সঙ্গে কোটার অনিয়ম নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম, সেখানে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে অনেক নেতাকর্মীর ভীড় ছিল। বের হয়ে আসার সময় হয়তো কারো হাতের ধাক্কায় কিছু ভেঙে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরবি/আরএ