মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহর আদালতে মামলার পাঁচ আসামিকে হাজির করা হয়। পরে বিকেলে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধ ও বৃহস্পতিবার (২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি) পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।
এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
জেলা শিশু নির্যাতন দমন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বাংলানিউজকে জানান, আদালতে আসামি আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, আরজু মিয়া ও সাহেদ আলী ওরফে সায়েদকে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিকেল ৫টার দিকে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
এ মামলায় আট আসামির মধ্যে কারাগারে পাঁচজন ও পলাতক রয়েছেন তিনজন। পলাতকরা হলেন- উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।
২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই মনির মিয়া (৭), তাজেল মিয়া (১০) ও ইসমাইল হোসেন (১০)।
পাঁচদিন পর বাড়ির পাশে একটি বালুছড়া থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ওই চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার)। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে এর বিচার শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও এক বছরেও শেষ হয়নি বিচারকার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরবি/আরআই