মাংসের দোকান বন্ধ পেয়ে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুর টাইন হলে মাংস কিনতে আসা সরকারি চাকরিজীবী আব্দুল মজিদ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ৬ দিনব্যাপী ধর্মঘটের প্রথম দিনে রাজধানীতে মাংসের জন্য মানুষের এ দুর্ভোগ দেখা যায়।
রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে ইজারাদারের অত্যাচার, অতিরিক্ত খাজনা আদায়সহ মাংস ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। ধর্মঘটের ফলে মাংস না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
টাইন হলের মাংস ব্যবসায়ী বারেক শেখ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধর্মঘটে শুধু সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তা নয়, আমাদেরও রুটি-রুজি চলে এ ব্যবসা দিয়ে। তবে এভাবে অন্যায়-অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। যতদিন সরকার বা সিটি করপোরেশনের ইজারাদারদের কাছ থেকে আমাদের মুক্তি না দেবেন, ততদিন সাধারণ মানুষকে এ দুর্ভোগের শিকার হতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সীমান্ত থেকে গরুর হাট পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গরু প্রতি চাঁদা দিতে হচ্ছে। সরকারের আদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন ইজারাদাররা। গত ৮ মাস ধরে গাবতলী গরু হাটে এ অত্যাচার চালাচ্ছে ইজারাদাররা ।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের কাছে শত শত আবেদন করা হয়েছে এ বিষয়ে। মেয়র একাধিকবার এ সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিলেও কাজ হচ্ছে না।
সাধারণ মানুষ মাংস কেনা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে এটা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ছয়দিন মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বারেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ছয়দিনের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশের মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এসটি/ওএইচ/আরআই