মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ মৌসুমী নাটোর সদর উপজেলার কৈগাড়ি কেষ্টপুর গ্রামের জমসেদ আলীর মেয়ে।
স্বামী রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, রাতে ফুল নিয়ে বাসায় এসে স্ত্রীকে খাবার গরম করতে বলেন। মৌসুমী খাবার গরম করে টেবিলে রেখে দেয়। খাবার ঠান্ডা ভেবে হাত দিলে হাত পুড়ে যায়। পরে স্ত্রীকে গালাগাল করেন। অভিমানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশের রুম বন্ধ করে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
টের পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত ১১টার মৃত ঘোষণা করেন।
মৌসুমীর ভাগিনা সোহাগ মিয়া বলেন, গত ৮ বছর আগে তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে তাদের।
সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, তার খালু নিজেকে পীর দাবি করেন। আমার খালা ফাঁসি দিতে পারে না তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশের এএসআই বাবুল মিয়া জানান, সৌসুমীর গলায় দাগ ছারাও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামী গোলাম রব্বানীকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
এজেডএস/বিএস