নিহত নিস্তার পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের ইয়াছিন আলী মিস্ত্রির ছেলে। তিনি পাবনা সদর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টহল দল ঢালারচর এলাকায় অভিযানে যাচ্ছিল। পথে তারা ঢালারচরের দরিরচরে পৌঁছালে চরমপন্থি বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলে। পরে চরমপন্থিরা পিছু হটে গেলে ঘটনাস্থল থেকে এক সন্ত্রাসীর মরদেহে উদ্ধার করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশি পিস্তল, বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয়রা নিহত ব্যক্তিকে নিজাম নিস্তার বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জেলা জাসদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম রাঙা বলেন, নিস্তার পাবনা সদর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক। তবে তার এসব অপকর্মের জন্যে ৩দিন আগে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বহিষ্কার করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, সন্ত্রাসী নিস্তারকে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। সে পাবনায় এলে তার মোবাইল ফোন পাওয়া যেত শাহজাদপুর এলাকায়। সম্প্রতি শাহজাদপুর এলাকায় তার আশ্রয়স্থল নষ্ট হলে সে বিভিন্ন এলাকায় নতুন আশ্রয়ের সন্ধান করছিল।
উল্লেখ্য, পাবনার ঢালারচরে আলোচিত তিন পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চরমপন্থি নিস্তারের বিরুদ্ধে পাবনা ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭/আপডেট:১০২৪
টিআই/আরএ