বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের যেসব কর্মকর্তারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিচার প্রাশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য ১৩৩তম রিপ্রেসার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, পদ্মাসেতুর অর্থায়ন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক যে আচরণ করেছে এর প্রতিকার আমরা চাই। বিশ্বব্যাংকের এ আচরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা ও এ মিথ্যা অভিযোগের কারণে যারা ভুক্তভোগী তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হওয়ার সময় যেসব নীতি ও চুক্তি সই করেছিলো সেই চুক্তিতে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই যে ঋণ বাতিল করলে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। বিশ্বব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিষয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন। রুলের বিষয়বস্তু জানার পরই বক্তব্য দেওয়া ভালো। যেহেতু বিষয়টি আদালতে গিয়েছে এখন আমি মনে করি আদালত থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য আসাই ভালো।
ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতগুলোতে বাংলায় পড়ার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতি চাইলে বাংলাতে রায় পড়ার বিষয়ে কোনো বাধা থাকবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক ও বিচার প্রাশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭/আপডেট: ১৪৪০
এমএ/ওএইচ/বিএস