বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে বনানীর ট্রাফিক পয়েন্টে এমনটাই দেখা গেছে।
চলন্ত বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মধ্যদিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।
এ চিত্র শুধু বনানী ট্রাফিক পয়েন্টেই নয়, রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, বিমানবন্দরসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানেই এমন চিত্র চোখে পড়ে।
এদিকে, নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও বেশিরভাগ পথচারীরাই তা ব্যবহার করছে না। এজন্য প্রায়ই আর্থিক জরিমানা গুনলেও পাল্টাচ্ছে না চিত্র।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর বনানী ট্রাফিক পয়েন্টে ডিএমপি’র ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের দায়ে ওইদিন ৮৬ পথচারীকে আর্থিক জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে কাকলী মোড়ে রাস্তা পারাপারে ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিংও করা হয়।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে প্রাণ হারানোর ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, অধিকাংশ সময় তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পারাপারেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। ফুটওভারে ব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহার করছে না পথচারীরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. মোসলেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গার্মেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গিয়ে গিয়ে এসব প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে।
কিন্তু এতে জন মানুষের থেকেও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা আইন প্রয়োগও করছি, যাতে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। কিন্তু হচ্ছে না -যোগ করলেন তিনি।
ডিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে পথচারীদের অবাধে রাস্তা পারাপার আটকানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে পথচারীদের মনে সচেতনতা বাড়তে শুরু করেছে। সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসজেএ/ওএইচ/আরআই