বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাকলী, মহাখালী, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে দেখা যায়।
অনেকেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।
বাংলামোটরে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে কাজটি ঠিক হয়নি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এভাবে রাস্তা পার হয়েছি। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না।
কাকলী মোড়ে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শরীফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সচেতনতার অভাবে আমরা এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হই। সাধারণত সময় বাঁচাতেই এটি করে থাকি, যা ঠিক নয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহবাগে এলাকায় মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা রাস্তা পার হতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মাহফুজ আলম নামে এক ব্যক্তি। মাহফুজ বাংলানিউজকে বলেন, আমার এক আত্মীয় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। তাকে দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু অসচেতনতার কারণে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমি নিজেই দুর্ঘনার শিকার হচ্ছিলাম। আজ যে শিক্ষা হলো তাতে ভবিষ্যতে এ ভুল আর হবে না।
শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে ঢাকা সিটিতে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা হয় জনগণের অসচেতনতার কারণে। ফুটওভার ব্রিজ আছে, কিন্তু তারা ব্যবহার করছে না। তারা এটা বোঝেন না সামান্য কয়েক মিনিট বাঁচাতে গিয়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। ঝুঁকিতে ফেলছেন পরিবারকেও।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় সবাইকে বলি রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন। কারণ আমরা যখন কোনো সিগন্যাল ছাড়ি তখন মানুষের রাস্তা পারাপারের কারণে গাড়িগুলো সঠিক লেনে চলতে পারে না। এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা দরকার।
কিছুদিন আগেও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করলে জরিমানা করতেন ম্যাজিস্ট্রেট। এটা বেশ কাজে দিয়েছিলো। কিন্তু যখন ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন তখন জনগণ সেটা মানে। না থাকলে আবার আগের মতোই চলতে থাকেন। তাই ম্যাজিস্ট্রেটদের সার্বক্ষণিক নিয়োগ দিলে ভালো হয়, যাতে জনগণ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে।
আর জনগণ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করেন সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমএইচকে/ওএইচ/এএ