বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) দ্বিতীয় বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিকদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট (বিআইআর) বিকাশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগ সব সময় স্মরণীয়। এ জন্য ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী তা গঠনে অনুমোদন দেন।
আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’র সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ প্রস্তুত করেছেন। নতুন নতুন ইউনিট গঠনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম কিনে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
“সৈনিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ শৃঙ্খলিত, পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। পেশাদার বাহিনীর জন্য এটি চলমান প্রক্রিয়া”।
১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি কুমিল্লা আর্মি একাডেমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন সৈনিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘তোমরা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করবে। মনে রাখবে কোনো ভালো মানুষ যেনো কোনো ভুল সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়’।
এ সময় দেশ ও দেশের বাইরে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবদানের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি বলেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, এদিন বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ত্যাগ করবেন রাষ্ট্রপতি। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এটি
** রাজশাহী পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি