ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে রাগীব আলীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
সিলেটে রাগীব আলীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল সিলেটে রাগীব আলীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

সিলেট: তারাপুর চা-বাগানের দলিল জালিয়াতির মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন সিলেটের কথিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তাদের আইনজীবী।

আপিল আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য আগামী ৮ মার্চ (বুধবার) দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারক।

র‍াগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি চারটি ধারায় মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো। দণ্ডবিধি ৪৬৬ ধারায় ছয় বছর, ৪৬৮ ধারায় ছয় বছর, ৪৭২ ধারায় এক বছর এবং ৪২০ ধারায় আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় কারাভোগ করছেন তারা।

রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের পক্ষের আপিল দাখিলকারী আইনজীবী এটিএম মাসুদ টিপু ও আব্দুর রহমান আফজাল (স্বপন) সাংবাদিকদের বলেন, নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে আপিল দায়ের করেছেন। এতে রাগীব আলীর জামিনেরও প্রার্থনা করা হয়। আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৮ মার্চ আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সিলেটে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে এক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আরও একটি মামলায় চার্জগঠন করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ দু’টি মামলার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

মামলায় আসামিরা হলেন- রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রোজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত।

দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।

ভূমি মন্ত্রণালয় সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করায় দুটি মামলা গত বছরের ১৯ জানুয়ারি পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।

২০১৬ সালের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে এদিনই রাগীব আলী তার ছেলে আবদুল হাই স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান।

১২ নভেম্বর দেশে ফেরার পথে জকিগঞ্জ সীমান্তে আবদুল হাই ও ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী।

২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় ১৪ সাক্ষির মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর ১৭ জানুয়ারি আদালতে রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন তারই মালিকানাধীন মালনিছড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এনইউ/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।