ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অতিদারিদ্র্য কমাতে প্রয়োজন সামাজিক নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
অতিদারিদ্র্য কমাতে প্রয়োজন সামাজিক নিরাপত্তা এনএসপিএস‘র উত্তরণ ও খাদ্য অধিকার বিষয়ে সেমিনার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতা ও পরিধি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অতিদারিদ্র্য জনগোষ্ঠী হ্রাস করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে খাদ্য অধিদফতরের আয়োজিত সেমিনারে এ মতামত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।

জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলের (এনএসপিএস) আলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির উত্তরণ ও খাদ্য অধিকার বিষয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে উপস্থিত আলোচকরা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচনে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন, পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি এবং কর্মসূচির অধীনে ভাতা দেওয়ায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মধ্যে উপকারভোগীদের স্মার্ট কার্ড দিতে হবে।

আলোচারা আরও বলেন, সকল ধরনের দারিদ্র্য থেকে মুক্তির জন্য খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে রাষ্ট্রের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

আলোচনায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, এনএসপিএস'র আলোকে সামাজিক নিরাপত্তায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, আমরা যদি খাদ্যকে মানুষের মৌলিক অধিকার বলে থাকি তবে এ খাদ্য সকলের পাওয়ার অধিকার আছে। কেউ যদি তার মৌলিক অধিকার বা খাদ্য না পান, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

জনমানুষের এ মৌলিক অধিকার খাদ্য নিশ্চিতের বিষয়ে রাষ্ট্রকেই ভাবতে হবে।

খাদ্য অধিদফতর ও সরকারের পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, খাদ্যের অধিকার বলতে বোঝায়, পর্যাপ্ত খাদ্য এবং পুষ্টিকর খাদ্য। জনমানুষ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে না পারলে প্রকৃতভাবে দারিদ্র্য বিমোচন হবে না। কারণ এর মধ্যে মানুষের অন্য মৌলিক চাহিদাগুলোও জড়িত।

আমরা যদি দেশের টেকশই উন্নয়নের কথা ভাবি, তবে প্রথমেই ভাবতে হবে দেশের প্রতিবন্ধী, নারী শ্রমিকরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছে কিনা সে বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, একটি দেশের অগ্রযাত্রার মধ্য কিছু ঘাটতি থাকেই, তবে এ ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। এতে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেমিনারে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এখনও ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, যা মোট জনসংখার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

খাদ্য অধিদফতর ও পিকেএসএফ'র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমানের সভাপতিত্বে জাতীয় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেব‍া অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির, অক্সফার্ম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল সোনেজি, ওয়ার্ন্ড ভিশনের ন্যাশনাল চিফ অ্যাডভাইজার ষ্টিফেন কে হালদার, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক আনোয়ারুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসজেএ/ওএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।