সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
তিনি দুইদিন কক্সবাজারে অবস্থান করবেন।
জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত এর আগে গত ৯ থেকে ২১ জানুয়ারি মায়ানমার সফর করেন। সফরকালে তিনি আরাকান (রাখাইন) ও কোচিন রাজ্য পরিদর্শন এবং মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এরপর জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, মায়ানমারে যা হচ্ছে তা এক কথায় প্রতিহিংসামূলক। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পরিকল্পিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যের শিকার।
লি বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচন মায়ানমারের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে সেই প্রত্যাশা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া বাড়ির কাঠামো আমি নিজ চোখে দেখেছি। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রামবাসীরা নিজেদের বাড়িঘর নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে। এই যুক্তি আমার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের একটি ভিডিও ক্লিপ জাতিসংঘের এ বিশেষজ্ঞ দেখেছেন। তার মতে, এটা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং অহরহ ঘটছে।
লি বলেন, মায়ানমারে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার অবশ্যই থাকতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়- এ বিষয়টি জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সফর শেষে ইয়াংঘি লি একটি বিবৃতি দেবেন। এরপর আগামী ১৩ মার্চ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে মায়ানমারের ওপর প্রতিবেদন উত্থাপন করবেন। এতে পরিস্থিতির ওপর তার মতামতের পাশাপাশি মায়ানমার সরকারের প্রতি সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
কেজেড/জেডএস