শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ১ হাজার ৬৩৩ জন শিক্ষার্থীসহ ত্রিপুরার ৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
মস্তিষ্কের মান উন্নয়নে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অ্যালোহায় মোট ৮টি পর্যায়ে বিভক্ত করে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিটি পর্যায়ের সময়কাল তিনমাস।
আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, চারবছর থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের মান উন্নয়নে এ কর্মসূচি সাহায্য করে। এটি শিশুদের কল্পনাশক্তির দক্ষতা, সৃষ্টিশীলতা বাড়াতে, সামাজিক বিজ্ঞান, ইংরেজি বাংলাসহ অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ও শিশুদের খেলার ছলে গণিত শিখতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে অ্যালোহার পক্ষ থেকে তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যালোহা বাংলাদেশের সাইফুল করীম, পরিচালক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
আইএসও অনুমোদিত অ্যালোহা শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এ মুহূর্তে শিক্ষা নিচ্ছে পৃথিবীর ৩৫টি দেশের ৫০ লাখের অধিক শিশু।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, চীন, মালয়েশিয়া, স্পেন, সিরিয়া, সৌদি আরব ও ভারত।
সাম্প্রতিক এক জাপানি গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাবাকাস শিক্ষা শিশুদের মস্তিষ্ক এমনভাবে বিকশিত করে যাতে তারা তাদের দৈনন্দিন পাঠ্য প্রতিটি বিষয়ে আরও বেশি দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে অ্যালোহা বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চমৎকার এ ধারণাটি মালয়েশিয়া থেকে এদেশে আনে এবং তার সফল প্রয়োগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
ইউএম/ওএইচ/এএ