শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক জয়নুল আবেদিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আব্দুল কাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এমপি হওয়ার লোভ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সংগে জড়িত আরও তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এ মামলার চার্জশিট আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান ডিআইজি।
সাবেক এমপি আব্দুল কাদেরের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামে। তবে তিনি সপরিবারে বগুড়া জেলা শহরের গরীব শাহ ক্লিনিকের চারতলা ভবনের ওপর তলায় বসবাস করেন। এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া থেকে পুলিশভ্যানে করে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয় তাকে। এরপর বুধবার দুপুরে তাকে লিটন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার/পাঁচ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এজি/এসআই