রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে কাগজপত্র যাচাই শেষে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর গাড়িটি জব্দ করেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুসারে গাড়িটির ব্যবহারকারী ছিলেন নিহাল ফারনান্দো। তিনি ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন।
নিহাল ফারনান্দোর (কাস্টমস পাশবুক নম্বর ৫০/০৮) ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন: AJB-066, চেসিস: ZZT240-0119638, ইঞ্জিন: 1ZZ-2605975, CC- 1800, মডেল: Toyota Allion, তৈরি সাল: 2006।
নিহাল ফারনান্দো ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাসাইনমেন্ট শেষে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুসারে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগের আগে ব্যবহৃত কাস্টমস পাশবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে যাননি। এতে শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়েছে এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুল্ক গোয়েন্দা এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করলে বিশ্বব্যাংক এর আগে দু’টি গাড়ি হস্তান্তর করে। এ গাড়িটি নিয়ে মোট ৩টি গাড়ি জব্দ হলো।
বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত প্রিভিলেজড পার্সনদের শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার সংক্রান্ত চলমান তদন্তের প্রয়োজনে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতর থেকে বিশ্বব্যাংকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এ চিঠির প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ দফতর থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে উপস্থিত হয়ে তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
আরো বেশ কিছু গাড়িতে গরমিল রয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। এগুলোর ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসজে/এএসআর