এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘিয়া, কাতলাখালী, জয়েরটেক, আহাকী ও রাজাবাড়ী এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। ভাটাগুলো আবার গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে ও আবাসিক এলাকায়।
ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী কৃষিজমিতে বা এর আশপাশে ইটভাটা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ফসলি জমি নষ্ট করে গড়ে উঠছে এসব ভাটা। ভাটার বর্জ্যে কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস পেয়ে কমছে উৎপাদন। সেইসঙ্গে নষ্ট হচ্ছে এইসব এলাকার গাছের ফল। ভাটার কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আহাকী এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন। সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাটা। মালিকদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি ও কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কৃষি জমি, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ইট প্রস্তুত করা যাবে না। ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। তবে এ ধরনের নিয়মনীতি থাকলেও তা মানছেন না ভাটার মালিকেরা।
এ ব্যাপারে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, গাজীপুরে নিয়ম না মেনে যেসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অনেক ভাটার মালিক উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। যার ফলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছি না। সারাদেশে পরিবেশ অধিদফতরের মাত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। এ কারণে আমরা চাইলেও অভিযান চালাতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
আরএস/আরআর/আরআই