সোমবার (২৭ জানুয়ারি) যাত্রাবাড়ী ডেমরা রোডের মাঝামাঝি এলাকায় ক্ল্যাসিক নাবিল নামে জুতা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
তিনি বলেন, কারখানার চারপাশে পানির লাইন না থাকা ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার রাস্তা না থাকায় আগুন নেভাবে বিলম্ব হয়। কারখানার ভেতরেও নিজস্ব কোনো অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিলো না।
তাছাড়া, কারখানার ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেইন রোডের খানিকটা ভেতরে ছিলো জুতার কারখানা। কারখানার চারপাশেই গাড়ির গ্যারেজ। কারখানায় যাতায়াতের জন্য সরু রাস্তা রয়েছে।
কারখানার শ্রমিক তাজুল ইসলাম বলেন, কারখানার মালিক নোবেল ও জুয়েল নামের দু’জন। এখান থেকে বাটাসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে জুতা সরবরাহ করা হতো।
টিনসেডের উপরে সকালে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করা হয়। ওইসময় আগুনের ফুল্কি পড়ে কেমিকেলের বস্তার উপর। পরে দাউ দাউ করে আগুন জলে ওঠে। প্রথমে পানি দিয়ে নিজেরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পুরো কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার সময় ভেতরে ৩০-৪০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তবে সবাই সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে যাওয়ায় কোনো হতাহত হননি।
আগুনে দুটি কারখানা পুড়ে যায়। কারখানা দু’টোতে দুই সিফটে প্রায় ২শ’ শ্রমিক কাজ করতেন বলে জানান শ্রমিক তাজুল ইসলাম।
তবে, আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানার স্বত্বাধিকারী কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয়রা জানান, ৫-৬ বছর ধরে এ কারখানায় জুতা তৈরি হচ্ছে। বাটাসহ বিভিন্ন কোম্পানির অর্ডারের জুতা তৈরি হতো এ কারখানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
পিএম/বিএস