বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিরোধিতা করে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য।
ইসরাফিল আলম বলেন, আমি শ্রমিকদের পক্ষ কথা বলার লোক।
এসময় তিনি শ্রম আইনের বই দেখিয়ে বলেন, শ্রমিক সংগঠন করলে অবশ্যই শ্রম আইনে নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, পরিচালিত হতে হবে। এটা ভঙ্গ করা চলবে না। এটা ম্যান্ডেটরি।
তিনি বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হতে পারে, বড়জোর সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু তারা যেটা করেছে সেটা আইনের অবমাননা। শ্রমিক সগঠনের ধর্মঘট বা স্ট্রাইক করার অধিকার আছে, কিন্তু নিয়মও আছে।
শ্রম আইনের ২০৯ এবং ২১০ ধারায় সুস্পষ্ট বলা আছে, শ্রমিক কি দায়িত্ব পালন করতে পারে। তারপর ২১১ ধারায় আপনি ধর্মঘট বা কর্মবিরতির ডাক দিতে পারেন। তাও দাবি উত্থাপন করতে হবে। এরপর ২১০ ধারায় এই দাবি নিয়ে আলোচনা হবে, তারপর আলোচনা নিষ্ফল হলে ডাইরেক্টর লেবার সার্টিফিকেট দেবে, আলোচনা সফল হয়নি। এই সার্টিফিকেট নিয়ে আবার সংগঠনের সদস্যদের কাছে যেতে হবে, বলতে হবে আলোচনা সফল হয়নি। সেখানে চার ভাগের তিন ভাগ সদস্য সমর্থন দিলে কমপক্ষে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটে যেতে পারেন। এছাড়া ধর্মঘট, কর্মবিরতির সুযোগ শ্রম আইন দেয়নি।
তিনি বলেন, শুধু আইন থাকলেই চলবে না, আইনের বাস্তবায়ন না হলে সরকারের সকল অর্জন মুখথুবড়ে পড়বে। তারা আন ফেয়ার লেবার প্র্যাকটিস করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৭
এসএম