যদিও ইট পাথরের মতো দীর্ঘস্থায়ী এবং মজবুত নয়; তারপরও সহজলভ্যতা, অল্প খরচ এবং স্বল্প ওজনের জন্য এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার সর্বাধিক। মানভেদে প্রতি হাজার ইট সাত হাজার টাকা থেকে আট হাজার পাঁচশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ এবং সাভারে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেসে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। সাভারের টোটাপাড়ার এ ইটভাটায় চিমনিতে জ্বালানির জন্য কয়লার গুড়া দিচ্ছে শ্রমিকরা। এ কয়লার বড় অংশই আসে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে।
লাইন করে রাখা পোঁড়া ইটের সাজানো সারি থেকে শ্রমিকরা ইট মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক ৩০ কেজি ওজনের সমান ষোলোটি ইট মাথায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।
এ ইটভাটা থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক ইট তৈরি হচ্ছে। প্রতি হাজার ইট তৈরির জন্য তিনশ টাকা পাচ্ছে শ্রমিকরা।
শুকনো কাঁচা ইটে ছিটিয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে পোঁড়া ইটের গুড়া।
রোদে শুকানো ব্লক করা ইট চিমনিতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রোদে শুকানোর জন্য লাইন করে রাখা ইটের সাজানো সারি থেকে নারী শ্রমিকরা ইট নিয়ে যাচ্ছে চিমনিতে পোড়ানোর জন্য।
মোক্তার আলী (৪৫) তার দুই ছেলে নিয়ে সাজানো কাঁচা ইট ঠেলাগাড়িতে উঠাচ্ছেন। অন্যান্য শ্রমিকদের মতো তারাও এ ইটভাটাতেই পরিবার নিয়ে থাকেন।
শ্রমিকরা কাজভেদে রোজ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন।
এ কাদামাটি থেকেই তৈরি হয় ইট। সাধারণত কৃষি জমিতে যেখানকার মাটি ইট তৈরির উপযোগী সেখানে ইট ভাটা তৈরি করা হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে আসা, হয় আর তৈরি হয়ে যাওয়া পোড়া লাল ইট ছড়িয়ে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩ , ২০১৭
ডিএম/এসএইচ