শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি, বংশাল এলাকাবাসী, ওল্ড ঢাকা ক্লাব, বাঙ্গাল আবু সাঈদ স্মৃতি সংসদ, বোধ ফাউন্ডেশনসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন অংশ নেয়।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে- বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে ঢাকা সিটির বর্জ্য, ট্যানারির বর্জ্যসহ অন্যান্য তরল বর্জ্য বুড়িগঙ্গাতে ফেলা সম্পূর্ণ বন্ধ করা, বর্জ্য শোধনের জন্য বুড়িগঙ্গাসহ শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর পার্শ্ববর্তী শিল্পাঞ্চলে বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট (সিইটিপি) স্থাপন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার তীরে বৃক্ষরোপণ, পায়ের চলার পথ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশ্রামগার নির্মাণ, নদী তীরবর্তী অঞ্চলকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা।
পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গার সঠিক সীমানা নির্ধারণ, বেদখলকৃত নদীর জমি উদ্ধার, দখল সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ ও জমি সংরক্ষণ করা, বুড়িগঙ্গার পাড়ে বাণিজিক স্থাপনা, মার্কেট, দফতর, দোকান, হোটেল নির্মাণ না করা, ঢাকা ওয়াসা সংগৃহীত বাসাবাড়ির ময়লা নিষ্কাশন প্রক্রিয়ায় অবিলম্বে বর্জ্য শোধন প্ল্যান্ট সংযুক্তি ও তার ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিকল্পিতভাবে খনন করে এর তলদেশের কঠিন স্তর বালি ও পলি অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও নদী বিষয়ক টাস্কফোর্সকে কার্যকর রাখা এবং নদী দূষণরোধে আলাদা দূষণ প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আনোয়ার সাদতের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুল হকসহ পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ